কণা ফাঁকা বাসটা পেয়ে দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ল। সাধারণত অফিস টাইমে এই রুটে বসতে পাওয়ার কোন সিন নেই, আজকে কণার একটু আগে হয়ে গেছে বলেই হয়ত। নিজের সৌভাগ্যে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠল। ব্যাকপ্যাকটা ঠিক করে নিয়ে ও বসে গেল তারপরে হাঁফাতে লাগল। আজকাল সামান্য জোরে হাঁটলে বা দু একটা সিঁড়ি ভাংলেও হাঁফ ধরে কণার।
কণা ফাঁকা বাসটা পেয়ে দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ল। সাধারণত অফিস টাইমে এই রুটে বসতে পাওয়ার কোন সিন নেই, আজকে কণার একটু আগে হয়ে গেছে বলেই হয়ত। নিজের সৌভাগ্যে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠল। ব্যাকপ্যাকটা ঠিক করে নিয়ে ও বসে গেল তারপরে হাঁফাতে লাগল। আজকাল সামান্য জোরে হাঁটলে বা দু একটা সিঁড়ি ভাংলেও হাঁফ ধরে কণার।
শরীরের যা অবস্থা হয়েছে কণার তা কল্পনাতীত, মাত্র পাঁচ ছয় পা দৌড়ে বাসে উঠে বসে তার মনে হচ্ছে যে বুকটা বোধহয় হাওয়ার জন্য ফেটেই যাবে। ব্যাপারটা কণার খুব একটা সুবিধার বলে মনে হল না, ভাবল কমে যাবে নিশ্চয়ই, আর গেলোও তাই খানেকটা বাদে। এটা তার গত একমাসের নিয়মিত জিমে যাওয়ার সুফল, না হলেৃ।
একদিন অন্তর জিমে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা ট্রেডমিলে হেঁটে নিজের শরীরটাকে এখন একটু যেন হাঁটা চলার উপযুক্ত করে তুলতে পেরেছে সে। এটা মাস ছয়েক আগেও যদি কেউ বলত যে কণা পারবে তাহলে সে তাকে অবশ্যই পাগল বলত।
যাই হোক আজ দৌড়ে বাসে উঠতে পেরে তারপরে নিজেকে সামলে নিতে পেরে কণা বেশ উত্তেজিত ফীল করল মনে মনে। হারানো বিশ্বাসটা যেন একটু হলেও ফিরে এলো।
বাসটা চলতে শুরু করল। এই বড় বাসগুলোর ভাব গতিক খুব একটা বোঝা যায় না, তাই বসে থাকা সত্ত্বেও পাশের রডটা ধরে নিল কণা। আধ ঘণ্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট তারপরে তাকে নামতে হবে, তার যেতে যেতেই মনে হয় অফিস টাইম শুরু হয়ে যাবে এই রুটে। তাই দরজার কাছে বসাটাই ভালো মনে মনে বলতে থাকল সে। ভীড়ের সাথে আনুষঙ্গিক অসুবিধাও যথেষ্ট ফেস করতে হয় মেয়েদের, তার এই শরীরের অবস্থাতেও যে অন্যথা হবে না সেটা বলাই বাহুল্য।
দু একটা স্টপেজ যাওয়ার পরে একজন মেয়ে উঠল বাসে কণার মনে হল তারই বয়েসই।
কণা ফাঁকা বাসটা পেয়ে দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ল। সাধারণত অফিস টাইমে এই রুটে বসতে পাওয়ার কোন সিন নেই, আজকে কণার একটু আগে হয়ে গেছে বলেই হয়ত। নিজের সৌভাগ্যে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠল। ব্যাকপ্যাকটা ঠিক করে নিয়ে ও বসে গেল তারপরে হাঁফাতে লাগল। আজকাল সামান্য জোরে হাঁটলে বা দু একটা সিঁড়ি ভাংলেও হাঁফ ধরে কণার।
By সন্দীপন ধর
Category: উপন্যাস
কণা ফাঁকা বাসটা পেয়ে দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ল। সাধারণত অফিস টাইমে এই রুটে বসতে পাওয়ার কোন সিন নেই, আজকে কণার একটু আগে হয়ে গেছে বলেই হয়ত। নিজের সৌভাগ্যে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠল। ব্যাকপ্যাকটা ঠিক করে নিয়ে ও বসে গেল তারপরে হাঁফাতে লাগল। আজকাল সামান্য জোরে হাঁটলে বা দু একটা সিঁড়ি ভাংলেও হাঁফ ধরে কণার।
শরীরের যা অবস্থা হয়েছে কণার তা কল্পনাতীত, মাত্র পাঁচ ছয় পা দৌড়ে বাসে উঠে বসে তার মনে হচ্ছে যে বুকটা বোধহয় হাওয়ার জন্য ফেটেই যাবে। ব্যাপারটা কণার খুব একটা সুবিধার বলে মনে হল না, ভাবল কমে যাবে নিশ্চয়ই, আর গেলোও তাই খানেকটা বাদে। এটা তার গত একমাসের নিয়মিত জিমে যাওয়ার সুফল, না হলেৃ।
একদিন অন্তর জিমে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা ট্রেডমিলে হেঁটে নিজের শরীরটাকে এখন একটু যেন হাঁটা চলার উপযুক্ত করে তুলতে পেরেছে সে। এটা মাস ছয়েক আগেও যদি কেউ বলত যে কণা পারবে তাহলে সে তাকে অবশ্যই পাগল বলত।
যাই হোক আজ দৌড়ে বাসে উঠতে পেরে তারপরে নিজেকে সামলে নিতে পেরে কণা বেশ উত্তেজিত ফীল করল মনে মনে। হারানো বিশ্বাসটা যেন একটু হলেও ফিরে এলো।
বাসটা চলতে শুরু করল। এই বড় বাসগুলোর ভাব গতিক খুব একটা বোঝা যায় না, তাই বসে থাকা সত্ত্বেও পাশের রডটা ধরে নিল কণা। আধ ঘণ্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট তারপরে তাকে নামতে হবে, তার যেতে যেতেই মনে হয় অফিস টাইম শুরু হয়ে যাবে এই রুটে। তাই দরজার কাছে বসাটাই ভালো মনে মনে বলতে থাকল সে। ভীড়ের সাথে আনুষঙ্গিক অসুবিধাও যথেষ্ট ফেস করতে হয় মেয়েদের, তার এই শরীরের অবস্থাতেও যে অন্যথা হবে না সেটা বলাই বাহুল্য।
দু একটা স্টপেজ যাওয়ার পরে একজন মেয়ে উঠল বাসে কণার মনে হল তারই বয়েসই।